শনিবার, ২৮ Jun ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ন
সদর দক্ষিণ প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ৬ নং পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নে অবৈধ মাটি কাটায় বাধা দেওয়ায় ছাত্রদল নেতার উপর হামলা করে গুরুতর আহত করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসী মান্না ও এরশাদ।
সূত্র মতে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একটা সিন্ডিকেট কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে আসছিলো। রাতের আঁধারে এরা মানুষের ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যায়।
মানুষ বাঁধা দিলে তাকে ও তার পরিবার পরিজনকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে সিন্ডিকেটটি। এই সিন্ডিকেটের মূল দুই হোতা এই উপজেলার ৫ নং পশ্চিম জোড়কানন ইউনিয়নের মান্না ওরফে মাটির দালাল মান্না ও ৬ নং পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের তোতলা এরশাদ।
গত ২৪ মার্চ রাতে ৬ নং পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসলাম অবৈধ মাটি কাটা বাঁধা দেওয়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসী মান্না ও এরশাদ রাকিবের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহপরান মজুমদার।
এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন তাদের অবৈধ মাটি কাটার কারণে গ্রাম্য রাস্তাগুলো মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তারা রাকিবের উপর হামলা করে। এলাকাবাসী এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চায়।
খবর নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ৬ নং পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের জয়নগর গ্রাম থেকে রাতের বেলায় অবৈধ মাটি কেটে আসছে এই সিন্ডিকেট টি।এতে মানুষের চলাচলের মূলসড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এই মাটির ব্যাবসা চলে মূলত মান্না ও এরশাদের নেতৃত্বে।
মান্না ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের এমপি বাহারের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাবেক সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিল। বিগত উপজেলা নির্বাচনে তাকে বাবলুর পক্ষে প্রকাশ্যে অস্ত্রহাতে ভাটপাড়া সুয়াগাজী ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অপরদিকে এরশাদ নিজেকে বিএনপির স্বঘোষিত জেলখাটা যুবদল নেতা বলে দাবি করে। খবর নিয়ে জানা যায় এরশাদ বিএনপির কোন দলেই তার কোন পদ নাই। সে মাটি ব্যাবসা করার জন্য বিএনপির নাম বিক্রি করে আসছে। স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলেন এরশাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে তাকে বিএনপি তে স্থান দেওয়া হয় নি। দোষী ব্যাক্তিদের বিচার দাবি করেন স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মীরা।